চুলের যত্নে ডিম ব্যবহার করার পদ্ধতি

0



এমন কেউ নেই যে ঘন কালো ও মসৃণ চুল চায় না। তবে দেখা যায় শীত আসলেই মাথার ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। খুশকি বেড়ে যায়। তাছাড়া অনেকেরই আছে চুল পড়ার প্রবণতা। আবার চুল পড়া থেকে মুক্তির উপায় আছে। মুক্তির উপায় হলো ডিমের প্যাক । প্রতি সপ্তাহে ডিমের প্যাক ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে যাবে।
 


চুল দ্রুত লম্বা করার অব্যর্থ এক ওষুধ হচ্ছে ডিম। কারণ ডিমে থাকে প্রোটিন। আর ডিমের এই প্রোটিন চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সহায়তা করে। মাথার ত্বকের পুষ্টিকে বাড়িয়ে তোলে কয়েকগুন এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। আবার চুল ঘন করতে হলেও ডিমের জুড়ি মেলা ভার। চুলকে হাইড্রেট রাখতে ডিমের কুসুমের মধ্যে থাকা বায়োটিন সাহায্য করে। তাছাড়া চুলকে প্রাকৃতিক ভাবে ময়েশ্চারাইজ রাখতেও সাহায্য করে। তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক, ডিম কিভাবে চুলে ব্যবহার করা যায় —

ডিম ও অলিভ অয়েলের প্যাকঃ একটি পরিষ্কার পাত্রে দুই টেবিল চামুচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এবং দুইটি ডিম নিতে হবে। এরপর দুইটা উপকরণই ভালভাবে মেশাতে হবে। চুলে আর স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৪৫ মিনিট বা একটু বেশী সময় অপেক্ষা করুন।তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ভালভাবে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

ডিম, দুধ ও মধুর প্যাকঃ দুধ এমন একধরনের তরল পদার্থ যা চুল মজবুত করার জন্য খুবই উপকারী। দুধ চুলের পুষ্টি জোগায় এবং দুধে থাকা প্রোটিন চুলকে মজবুত করে তোলে । আবার চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে মধু। একটি পরিষ্কার পাত্রে দুই চামুচ মধু,দুই টেবিল চামুচ দুধ এবং দুইটি ডিম নিতে হবে। তারপর এগুলোকে ভাবভাবে মেশাতে হবে। তারপর ৩০ মিনিট মত চুলে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুইদিন এটি করলে চুল মজবুত, পুষ্টি এবং ময়েশ্চারাইজ হবে।

ডিম, মধু ও লেবুর প্যাকঃ একটি পরিষ্কার পাত্রে লেবু ও মধু নিয়ে ডিমের সাথে ভালভাবে মেশাতে হবে। প্যাকটি ৩০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর ৩০ মিনিট হয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে সবচেয়ে ভাল ফল পেতে চাইলে যেদিন প্যাক লাগাবেন তার আগেরদিন রাতে হালকা গরম তেল চুলে লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে।

ডিম ও দইয়ের প্যাকঃ ডিমের সাথে দই ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর খুব যত্ন সহকারে ভালভাবে চুলের গোড়ায় প্যাকটি লাগাতে হবে। এভাবে ৩০ মিনিট প্যাকটি লাগিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।




শেষ কথা


একটা জিনিস ভালভাবে মাথায় রাখতে হবে আর সেটা হলো ডিম দিয়ে তৈরী প্যাক ব্যবহারের পর সব সময় ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। গরম বা হাল্কা গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া যাবে না। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশী হবে। তাই চুল ধোয়ার সময় এইদিকে খেয়াল রাখতে হবে।




চুলের যত্ন, চুলের যত্ন নেওয়ার উপায়, চুলের যত্নে মেহেদি, চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান,চুলের জন্য ভেষজ উপাদান,  চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান

Tags

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top