ওজন কমানোর ৩ টি উপায় যা বিজ্ঞানসম্মত

0

ওজন কমানোর উপায়, ওজন কিভাবে কমাবো, ojon komanor upai ki ki, ojon kmne komabo, ওজন কেমনে কমাবো, কিটো ডায়েট


জীবনের একটা সময় এসে সবার জন্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। শরীরে নানা রকম জটিলতা দেখা দেয় স্থূলকায় হওয়ার কারণে। আর এই জন্য ডায়েটের প্লান নিতে হয় ওজন কমানোর জন্য। অনেকে আছেন যারা কিটো ডায়েটের সাহায্য নিয়ে থাকেন। আবার অনেকে আছেন ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য স্বাস্থ্যকম খাবার খেয়ে থাকেন। অনেকে আবার ব্যায়াম করে, খাবার কম খেয়ে শরীরের মেদ কমান। ওজন কমাতে প্রধান ভূমিকা পালন করে স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে এমন কিছু উপায়ও আছে যাতে করে একজন মানুষ কম ডায়েট করে এবং পুরোদমে খাবার দাবার খেয়েও ওজন কমাতে পারেন।

আর বিজ্ঞানসম্মত তিনটি উপায় নিয়েই আজকে আমরা আলোচনা করব দ্রুত ওজন কমানোর।

ব্যায়াম

স্বাস্থ্যকর খাওয়ার পাশাপাশি যদি ব্যায়াম করা হয় তাহলে ওজন দ্রুত হ্রাস পায়। ভারোত্তোলন ব্যায়াম ওজন হ্রাস এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ওয়েট নিয়ে যদি ব্যায়াম করা হয় তাহলে সেটি একজন মানুষের বিপাক ক্রিয়া বজায় রাখতে সহায়তা করে, যা ওজন হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করে। একজন মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করবে বিভিন্ন রকম শরীরচর্চা।



প্রোটিন, ফ্যাট ও শাকসবজি খাওয়া

সবুজ শাকসবজি হচ্ছে ওজন কমানোর সবচেয়ে বড় দাওয়াই। একজন মানুষকে স্বাস্থ্যকর থাকতে সাহায্য করে শাকসবজি। সবুজ শাকসবজি হচ্ছে কম ক্যালরিযুক্ত এবং পুষ্টিতে ভরপুর হয় । পুষ্টিগুন ও কম ক্যালরিযুক্ত সবুজ শাকসবজির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শাক, টমেটো, ব্রোকলি, ফুলকপি, ব্রাসেলস স্প্রাউটস,কেল, বাধাকপি, সুইস চারড,শসা ও লেটুস। এছাড়াও সব ফ্যাট খারাপ হয় না। একজন মানুষের দেহের মসৃনভাবে কাজ করতে প্রয়োজন চর্বিযুক্ত খাবারের। তাই যেকোন মানুষ ডায়েটে স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অ্যাভোকাডো অয়েল এবং অলিভ অয়েল বেছে নিতে পারেন। আবার মাখন ও নারকেল তেলের মত চর্বিগুলোতে থাকে পর্যাপ্ত পরিমানে ফ্যাট। তাই উচিৎ এগুলো পরিমিত ব্যবহার করা।


কার্বোহাইড্রেডযুক্ত খাবার পরিহার


ওজন কমানোর অন্যতম সহজ উপায় হচ্ছে বেশি ক্যালোরির কার্বোহাইড্রেডযুক্ত খাবারের বদলে শস্য থেকে উৎপাদিত খাবার খাওয়া। অর্থাৎ সাদা আটা থেকে যেসকল খাবার উৎপাদিত সেসকল খাবার খাওয়া কমাতে হবে। সব সময় আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। এটি একজন মানুষের ক্ষুধার মাত্রা কমাবে। কার্ব-ডায়েট করার সময় দেহশক্তির জন্য শর্করার বদলে আপনার শরীরের সঞ্চিত ফ্যাট ব্যবহার করবে। একজন মানুষের শরীরে আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়ায় লাল আটা থেকে উৎপাদিত খাবার। আর সেই সঙ্গে খাবার ধীরে ধীরে/আস্তে আস্তে হজমে সহায়তা করে। এর ফলে একজন মানুষের ক্ষুধা কম লাগবে৷ যদি শস্যদানা থেকে উৎপাদিত খাবার খাওয়া যায় তাহলে ফ্যাটযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমবে।
Tags

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
To Top